আসসালামুয়ালাইকুম। কেমন আছেন সবাই?
আজকে আপনাদের সামনে নিয়ে এলাম নতুন একটি বিষয়।
হরর মুভিগুলোর খুব প্রচলিত কাহিনীচিত্র হচ্ছে হোটেল ঘরে ভৌতিক বা অতিপ্রাকৃতিক ঘটনাসমূহ। মুভিতে এসব বানোয়াট ঘটনা দেখেই আমাদের অনেকের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। আর আজ যদি আপনাদের বলি মুভিতে দেখা ঘটনাগুলাে সত্যিই বাস্তবে ঘটে!
হ্যাঁ, অবাক হলেও সত্যি। পৃখিবীতে বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু হোটেল রয়েছে যে হােটেলগুলােতে প্রায়ই নানা ধরণের ভৌতিক কাণ্ডকারখানা ঘটে থাকে। বিশ্বের এমন কিছু হােটেলের আধিভৌতিক ঘটনার বর্ণনা দেয়ার জন্যই মূলত আজকের এই পোস্ট।তো চলুন শুরু করা যাক-
কিছুদিন পর ইসোবেল জানালার কাঁচ ভেঙ্গে সেখান থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে। এরপর থেকে 'শ' পরিবার নানা কারনে বেশ আর্থিক দুরাবস্থায় পড়লে তারা বাড়িটি বিক্রি করে দেয়। পরবর্তীতে এই জমিতেই Ballygally Castle Hotel নির্মিত হয়। হোটেল চালুর পর থেকে এখানে ইসোবেলের অতৃপ্ত আত্মার অস্তিত্ব ধীরে ধীরে খুব ভালভাবে প্রমানিত হতে থাকে।
হোটেলের অনেক অতিথিরা করিডরে একজন নারীকে দেখেন। অদ্ভুত অদ্ভুত সময়ে তাদের দরজায় কড়া নাড়ার আওয়াজ পাওয়া যায়। ছোট বাচ্চা মেয়েদের হাসির আওয়াজ শব্দও শোনা যায় হােটেলটিতে।
আজকে আপনাদের সামনে নিয়ে এলাম নতুন একটি বিষয়।
হরর মুভিগুলোর খুব প্রচলিত কাহিনীচিত্র হচ্ছে হোটেল ঘরে ভৌতিক বা অতিপ্রাকৃতিক ঘটনাসমূহ। মুভিতে এসব বানোয়াট ঘটনা দেখেই আমাদের অনেকের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। আর আজ যদি আপনাদের বলি মুভিতে দেখা ঘটনাগুলাে সত্যিই বাস্তবে ঘটে!
হ্যাঁ, অবাক হলেও সত্যি। পৃখিবীতে বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু হোটেল রয়েছে যে হােটেলগুলােতে প্রায়ই নানা ধরণের ভৌতিক কাণ্ডকারখানা ঘটে থাকে। বিশ্বের এমন কিছু হােটেলের আধিভৌতিক ঘটনার বর্ণনা দেয়ার জন্যই মূলত আজকের এই পোস্ট।তো চলুন শুরু করা যাক-
ব্যালিগ্যালি ক্যাসেল হোটেল, লার্ন, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড (Ballygally Castle Hotel, Larne, Northern Ireland)
১৬২৫ সালে নির্মিত এই হোটেলটির খুব বেশি নামডাক না থাকলেও, এর ভয়ংকর একটি অতীত আছে। এই স্থানে আগে 'shaw' পরিবার থাকতো। জেমস 'শ'-এর স্ত্রী ইসোবেলের কোন পুত্র সন্তান হচ্ছিলো না। এই অপরাধে তাকে এই বাড়ির একটি কক্ষে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। তাকে খাবার-পানি কোনকিছুই দেওয়া হত না।কিছুদিন পর ইসোবেল জানালার কাঁচ ভেঙ্গে সেখান থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে। এরপর থেকে 'শ' পরিবার নানা কারনে বেশ আর্থিক দুরাবস্থায় পড়লে তারা বাড়িটি বিক্রি করে দেয়। পরবর্তীতে এই জমিতেই Ballygally Castle Hotel নির্মিত হয়। হোটেল চালুর পর থেকে এখানে ইসোবেলের অতৃপ্ত আত্মার অস্তিত্ব ধীরে ধীরে খুব ভালভাবে প্রমানিত হতে থাকে।
হোটেলের অনেক অতিথিরা করিডরে একজন নারীকে দেখেন। অদ্ভুত অদ্ভুত সময়ে তাদের দরজায় কড়া নাড়ার আওয়াজ পাওয়া যায়। ছোট বাচ্চা মেয়েদের হাসির আওয়াজ শব্দও শোনা যায় হােটেলটিতে।
কুইন অ্যানি হোটেল, স্যান ফ্রেনসিস্কো, ক্যালিফাের্নিয়া (Queen Anne Hotel, San Fransisco, California)
অত্যন্ত সুন্দর এই হোটেলটিতে প্রায়ই একজন নারীর আত্মাকে ঘুরে বেড়াতে
দেখেছেন অনেকে। ধারনা করা হয় এই জমিতে আগে যে স্কুলটি ছিল তার
প্রিন্সিপ্যাল ম্যারি লেক-এর আত্মা এটি। হােটেলে আগতদের কাপড়চোপড় প্রায়ই
ঠিকঠাক জায়গায় খুঁজে পাওয়া যায় না। আলমারির দরজা প্রায়ই এমনি এমনি খুলে
যায়। বিভিন্ন বস্তু শূন্যে ভাসতেও দেখা যায়। মাটিতে পড়ে থাকা বস্তু নিজেই
উপরে উঠতে থাকে। তবে এ ধরণের কাণ্ড সবচেয়ে বেশি ঘটে থাকে রুম নাম্বার ৪০১।
যেখানে আগে ম্যারি লেকের অফিসরুম ছিল।
ফেয়ারমন্ট ব্যানফ স্প্রিংস হোটেল, আলবার্টা, কানাডা (Fairmont Banff Springs Hotel, Alberta, Canada)
এই হোটেলটিতে একজন বেলম্যান ও একজন নতুন বধূকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।
বেলম্যানটিকে ৯ তলায় দেখা যায়। অতিথিদের জিনিসপত্র রুমে পৌঁছে দিয়ে সে
হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। ধারনা করা হয়, এই হোটেলের অনেক দিন পুরানো এক কর্মচারীর
আত্মা এটি যে ১৯৭৫ সালে মারা গিয়েছিল। কিন্তু মারা যাবার পরও সে হোটেল
গেস্টদের সহায়তায় ব্যস্ত। আরেকজন যে এই হোটেলে ঘুরে বেড়ায় তিনি হচ্ছেন,
বিয়ের দিন এই হোটেলটিতে মারা যাওয়া এক নববধূ। হঠাৎ হঠাৎ হোটেলটিতে কনকনে
ঠাণ্ডা হাওয়া বইতে থাকে, লবির একটি বিশাল ঝাড়বাতি প্রবল বেগে দুলতে থাকে।
হোটেল কুইন ম্যারি, লং বিচ, ক্যালিফোর্নিয়া (Hotel Queen Mary, Long Beach, California)
অামেরিকার এই বিলাসবহুল জাহাজ হোটেলের অন্যান্য জায়গার চেয়ে সুইমিং পুল
এলাকায় সবচেয়ে বেশি ভৌতিক কাণ্ডকারখানা ঘটে। ১৯৩০ সালে ও ১৯৬০ সালে দুইজন
মহিলা এই পুলে ডুবে মারা যান অথচ তারা সাঁতার জানতেন। এছাড়াও এখানে ছোট
বাচ্চাদের ঘাড় ভেঙ্গে যাওয়ার একটি গুজব রয়েছে। সমগ্র শিপ জুরেই নানান
আধিভৌতিক ব্যাপার ঘটে থাকলেও ফার্স্ট ক্লাসের অতিথিদের একটু বেশি ভোগান্তি
পোহাতে হয়। সিঁড়িঘরে ১৯৩০ সালের স্টাইলের পােশাক কালো কুচকুচে দাড়িওয়ালা
লম্বা একটি লোককে প্রায় রাতেই দেখা যায়।
হিস্টোরিক ন্যাশনাল হোটেল, জেমস টাউন, ক্যালিফোর্ণিয়া (Historic National Hotel, Jamestown, California)
এই হোটেলের কর্মীদের পরামর্শ হচ্ছে, হোটেলে অবস্থানকালীন সময় আপনার যদি মনে
হয় আপনি কোন আধিভৌতিক অস্তিত্বের মুখোমুখি হলে, আপনার তাকে 'হ্যালো' বলা
উচিত। ফ্লো নামের একজন মৃত মানুষের আত্মা হোটেলটিতে ঘুরঘুর করে। সে খুব
বেশি ক্ষতিকর নয়। তাকে প্রায়ই জানালায় বসে থাকে দেখা যায়। এরচেয়ে বেশি দেখা
যায় তাকে রান্নাঘরে। অনেক সময় গেস্টরা তাদের রুমে হিটার চালু থাকা
অবস্থায়ও হাড় কাঁপানো শীতের অনুভূতি পেয়ে থাকেন। বলা হয়ে থাকে, ফ্লো-এর
সাথে যার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল বিয়ের দিন সকালে এই জায়গাটিতে তাকে গুলি করে
মেরে ফেলা হয়। ১৮৮০ সালের নিউ ইয়ার ইভে ফ্লো এই খবরটি জানতে পেরে, তার
ওয়েডিং ড্রেস পরা অবস্থাতেই অবিরত কাঁদতে কাঁদতে হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে
সেখানেই মারা যায়।
এই ছিল মূলত আজকের পোস্ট। আশাকরি পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আপনাদের জন্য পোস্টটি সংগ্রহ করা হয়েছে champs21.com থেকে।
তো সবাই ভালো থাকবেন আর প্রযুক্তির সাথে থাকবেন।
Post a Comment