আসসালামুয়ালাইকুম। কেমন আছেন সবাই?
আশাকরি সবাই ভালো আছেন, আমিও আপনাদের দোয়ায় আর আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের শেষ নেই, তারা যেন সবসময় অশান্তিতে। এর মধ্যে যখন ক্যারিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠে তখন সবাই ভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার! কিন্তু আসলেই কি তাই?
হ্যাঁ আজ কথা বলবো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার নিয়ে, যারা সবসময় ভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার তাদের ধারনা পাল্টানোর জন্য।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সবসময় একটা চিন্তায় থাকে যে তারা আজ যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করছে সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ে চাকরি পাবে কিনা, কিংবা কিভাবে চাকরি পাবে, কিভাবে বিসিএস এ চান্স পাবে ইত্যাদি প্রশ্নে। আপনাদের এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আমার এই পোস্ট টি।
পোস্ট টি সংগ্রহ করা হয়েছে বাংলাদেশের স্বনামধন্য জব পোর্টাল বিডি জবস থেকে।
প্রশ্ন: কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়লে ভালো চাকরি পাওয়া যায়?
উত্তর: আজকাল চাকরির ক্ষেত্রে আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন তা বিবেচনা করেনা চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান গুলো। আপনার যোগ্যতা থাকলে আপনি যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা করে ভালো চাকরি পেতে পারেন।
প্রশ্ন: চাকরির ক্ষেত্রে সিজিপিএ কত লাগে?
উত্তর: চাকরির ক্ষেত্রে সিজিপিএ খুব একটা বেশী গুরুত্নপূর্ন না হলেও আপনার আবেদন করার জন্য অন্তত সিজিপিএ ০৩.৫০ রাখতে চেষ্টা করুন। তবে মনে রাখবেন সিজিপিএ যতই বেশী হোক চাকরির ক্ষেত্রে ভাইভা বা নিয়োগ পরীক্ষার সময় আপনাকে সম্মুখীন হতে হবে কিছু কঠিন প্রশ্নের। তাই সেভাবেই প্রস্তুতি নিন।
প্রশ্ন: বর্তমানে কোন ডিপার্টমেন্ট এর চাহিদা বেশী?
উত্তর: বর্তমানে সব ডিপার্টমেন্ট এর চাহিদা রয়েছে এবং কাজের ক্ষেত্র ও রয়েছে। আগে একসময় শুধু একাউন্টিং কিংবা ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্ট কে প্রাধান্য দেওয়া হলেও এখন প্রায় সব ডিপার্টমেন্ট এর চাহিদা রয়েছে। তাই এই নিয়ে চিন্তা না করলেও চলবে।
প্রশ্ন: বিসিএস প্রস্তুতি কিভাবে শুরু করবো?
উত্তর: বিসিএস দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি হিসেবে এখন এতোটা গুরুত্ন না দিয়ে শুধু প্রাথমিক কিছু প্রস্তুতি নিন। কারন এখন যা পড়বেন তার ৭০-৮০% আপনার মাথায় থাকবেনা। তাই প্রাথমিক প্রস্তুতির জন্য কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, সংবাদপত্র কিংবা বিভিন্ন তথ্যভিত্তিক ওয়েবসাইট পড়তে থাকুন। এর মাধ্যমে আপনার ৫০% প্রস্তুতি সম্পর্ন হয়ে যাবে।
প্রশ্ন: চাকরির প্রস্তুতির জন্য কি কি বই অনুসরন করতে হবে?
উত্তর: চাকরির প্রস্তুতির জন্য নির্দিষ্ট কোন বই নেই। তাই বাজারে প্রচলিত বই গুলোর মধ্যে যে বইটি আপনার কাছে পড়তে সোজা মনে হয় সেগুলোই পড়ুন।
প্রশ্ন: ইংরেজির দক্ষতা কিভাবে বাড়াবো?
উত্তর: ইংরেজির দক্ষতা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত চর্চা করতে থাকুন ইংরেজী। ইংরেজি বিভিন্ন গল্প, উপন্যাস, সংবাদপত্র এবং ইংরেজী খবর দেখুন। এতে ইংরেজীর উপর দক্ষতা বাড়বে। সাথে করে রাখতে পারেন IELTS, GMAT, GRE. এগুলো চাকরি ক্ষেত্রে কাজে আসবে।
প্রশ্ন: এমবিএ করা অবস্থায় কি চাকরি করা ঠিক হবে?
উত্তর: আপনি যদি করতে পারেন তবে করলে সমস্যা নেই। তবে ৭০% ক্ষেত্রে দেখা যায় এমবিএ করার সময় চাকরি করলে এমবিএ এর রেসাল্ট খারাপ হয়। তাই এমবিএ করা অবস্থায় একান্ত বাধ্য না হলে চাকরি না করাটাই উত্তম।
সবশেষে একটা কথাই বলবো নিজের মধ্যে সাহস, আত্নবিশ্বাস এবং কাজ করার জন্য পরিশ্রমের মনোভাব রাখুন, সফলতা আসবেই। সবার জীবনের সফলতা কামনা করছি।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আর প্রযুক্তির সাথে থাকবেন।
আশাকরি সবাই ভালো আছেন, আমিও আপনাদের দোয়ায় আর আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের শেষ নেই, তারা যেন সবসময় অশান্তিতে। এর মধ্যে যখন ক্যারিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠে তখন সবাই ভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার! কিন্তু আসলেই কি তাই?
হ্যাঁ আজ কথা বলবো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার নিয়ে, যারা সবসময় ভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার তাদের ধারনা পাল্টানোর জন্য।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সবসময় একটা চিন্তায় থাকে যে তারা আজ যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করছে সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ে চাকরি পাবে কিনা, কিংবা কিভাবে চাকরি পাবে, কিভাবে বিসিএস এ চান্স পাবে ইত্যাদি প্রশ্নে। আপনাদের এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আমার এই পোস্ট টি।
পোস্ট টি সংগ্রহ করা হয়েছে বাংলাদেশের স্বনামধন্য জব পোর্টাল বিডি জবস থেকে।
প্রশ্ন: কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়লে ভালো চাকরি পাওয়া যায়?
উত্তর: আজকাল চাকরির ক্ষেত্রে আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন তা বিবেচনা করেনা চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান গুলো। আপনার যোগ্যতা থাকলে আপনি যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা করে ভালো চাকরি পেতে পারেন।
প্রশ্ন: চাকরির ক্ষেত্রে সিজিপিএ কত লাগে?
উত্তর: চাকরির ক্ষেত্রে সিজিপিএ খুব একটা বেশী গুরুত্নপূর্ন না হলেও আপনার আবেদন করার জন্য অন্তত সিজিপিএ ০৩.৫০ রাখতে চেষ্টা করুন। তবে মনে রাখবেন সিজিপিএ যতই বেশী হোক চাকরির ক্ষেত্রে ভাইভা বা নিয়োগ পরীক্ষার সময় আপনাকে সম্মুখীন হতে হবে কিছু কঠিন প্রশ্নের। তাই সেভাবেই প্রস্তুতি নিন।
প্রশ্ন: বর্তমানে কোন ডিপার্টমেন্ট এর চাহিদা বেশী?
উত্তর: বর্তমানে সব ডিপার্টমেন্ট এর চাহিদা রয়েছে এবং কাজের ক্ষেত্র ও রয়েছে। আগে একসময় শুধু একাউন্টিং কিংবা ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্ট কে প্রাধান্য দেওয়া হলেও এখন প্রায় সব ডিপার্টমেন্ট এর চাহিদা রয়েছে। তাই এই নিয়ে চিন্তা না করলেও চলবে।
প্রশ্ন: বিসিএস প্রস্তুতি কিভাবে শুরু করবো?
উত্তর: বিসিএস দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি হিসেবে এখন এতোটা গুরুত্ন না দিয়ে শুধু প্রাথমিক কিছু প্রস্তুতি নিন। কারন এখন যা পড়বেন তার ৭০-৮০% আপনার মাথায় থাকবেনা। তাই প্রাথমিক প্রস্তুতির জন্য কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, সংবাদপত্র কিংবা বিভিন্ন তথ্যভিত্তিক ওয়েবসাইট পড়তে থাকুন। এর মাধ্যমে আপনার ৫০% প্রস্তুতি সম্পর্ন হয়ে যাবে।
প্রশ্ন: চাকরির প্রস্তুতির জন্য কি কি বই অনুসরন করতে হবে?
উত্তর: চাকরির প্রস্তুতির জন্য নির্দিষ্ট কোন বই নেই। তাই বাজারে প্রচলিত বই গুলোর মধ্যে যে বইটি আপনার কাছে পড়তে সোজা মনে হয় সেগুলোই পড়ুন।
প্রশ্ন: ইংরেজির দক্ষতা কিভাবে বাড়াবো?
উত্তর: ইংরেজির দক্ষতা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত চর্চা করতে থাকুন ইংরেজী। ইংরেজি বিভিন্ন গল্প, উপন্যাস, সংবাদপত্র এবং ইংরেজী খবর দেখুন। এতে ইংরেজীর উপর দক্ষতা বাড়বে। সাথে করে রাখতে পারেন IELTS, GMAT, GRE. এগুলো চাকরি ক্ষেত্রে কাজে আসবে।
প্রশ্ন: এমবিএ করা অবস্থায় কি চাকরি করা ঠিক হবে?
উত্তর: আপনি যদি করতে পারেন তবে করলে সমস্যা নেই। তবে ৭০% ক্ষেত্রে দেখা যায় এমবিএ করার সময় চাকরি করলে এমবিএ এর রেসাল্ট খারাপ হয়। তাই এমবিএ করা অবস্থায় একান্ত বাধ্য না হলে চাকরি না করাটাই উত্তম।
সবশেষে একটা কথাই বলবো নিজের মধ্যে সাহস, আত্নবিশ্বাস এবং কাজ করার জন্য পরিশ্রমের মনোভাব রাখুন, সফলতা আসবেই। সবার জীবনের সফলতা কামনা করছি।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আর প্রযুক্তির সাথে থাকবেন।
2 comments
অনেক সুন্দর এবং ফাইনাল সাজেশন আপনার। পাঠকরা খুবই উপকৃত হবে। শিক্ষার্থীদের কনফিডেন্ট বাড়বে বলে আমার মনে হয়।
Replyধন্যবাদ আপনাকে :)
ReplyPost a Comment